ক্যাটওয়াকে নিষিদ্ধ হবে ক্ষীণদেহীরা!

র্যাম্পে ক্যাটওয়াকে অংশ নেওয়া
অতিরিক্ত ক্ষীণ দেহের মডেলদের
নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে ফ্যাশন তীর্থ
প্যারিসে। স্বাস্থ্য সচেতনতার
প্রশ্নে এমন মডেলদের র্যাম্পে
নিষিদ্ধ করা, এ জন্য ফ্যাশন
এজেন্সিকে জরিমানা করা এমনকি
সংশ্লিষ্টদের জেলে পাঠানোরও
সুপারিশ করা হয়েছে ফরাসি
পার্লামেন্টে উত্থাপিত একটি
বিলে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার বলেছেন, সরকার হয়তো এই
বিলের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে।
খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রশ্নে অতিরিক্ত
ক্ষীণ দেহের মডেলদের নিরুৎসাহিত
করতে পার্লামেন্টের এই বিলটি
পাস করলে দুনিয়াজুড়ে ফ্যাশন
ইন্ডাস্ট্রিতে এর প্রভাব পড়বে বলে
মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। বেশ
কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত
ক্ষীণ দেহের মডেলদের র্যাম্প ও
বিজ্ঞাপনে নিষিদ্ধ করলেও ফ্যাশন
সচেতন ফ্রান্স এ নিয়ে সমালোচকদের
প্রশ্নের মুখে রয়েছে। ইতালি, স্পেন ও
ইসরায়েল ২০১৩ সালের শুরুতেই আইন
করে অতিরিক্ত ক্ষীণ দেহের
মডেলদের ফ্যাশন জগতে নিষিদ্ধ
করেছে।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাহিসোল
তুহাইন বলেন, ‘ফ্যাশন মডেলদের এটা
বলতে পারা গুরুত্বপূর্ণ যে তাঁদের
ভালোভাবে খাওয়াদাওয়া করা
প্রয়োজন এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া
প্রয়োজন। বিশেষত কম বয়সী নারীদের
জন্য এ কথা বলা প্রয়োজন, যারা
মডেলদের সুন্দরের আদর্শ হিসেবে
দেখে।’
পার্লামেন্টে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই
গুরুত্বপূর্ণ বিলকে ঘিরে বিতর্কের
মধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী তুহাইন বলেছেন,
সমাজবাদী সরকার মডেলদের ওজন
সম্পর্কিত দুটি সংশোধনীতে সমর্থন
দেবে। এদিকে, সংশোধনীর সঙ্গে
জড়িত ক্ষমতাসীন দলের এমপি
অলিভিয়ের ভেহান বলেছেন, ফ্যাশন
ইন্ডাস্ট্রির কেউ এই আইন অমান্য করলে
ফ্যাশন এজেন্সিকে ৭৫ হাজার ইউরো
জরিমানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ৬
মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
কোনো ফ্যাশন ইভেন্টে অংশ
নেওয়ার বা বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ
করার আগে মডেলদের মেডিকেল
সনদপত্র দেখাতে হবে। নিয়মানুযায়ী
‘বিএমআই’ বা ‘বডি মাস ইনডেক্স’
অনুযায়ী ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার একজন
মডেলের ওজন অবশ্যই ৫৫ কিলোগ্রাম
হতে হবে। অতিরিক্ত ক্ষীণ দেহে উৎ
সাহিত করে কিংবা অস্বাস্থ্যকর
জীবনযাপনে উসকানি দেয়ে এমন
প্রচারণাকেও আইনের আওতায় আনার
কথা বলা হয়েছে নতুন বিলটিতে।
ফ্যাশন সচেতন হতে গিয়ে খেয়ে-না-
খেয়ে ক্ষীণদেহী হতে চাওয়া
ফ্রান্সে একটি সামাজিক সমস্যায়
পরিণত হয়েছে। অ্যনোরেক্সিয়া বা
ক্ষুধামন্দা অল্পবয়সীদের মধ্যে একটা
সাধারণ রোগ হিসেবে দেখা
যাচ্ছে। ২০০৭ সালে ক্ষুধামন্দার
বিষয়ে সচেতনতামূলক
বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য ছবি তোলার
কিছুক্ষণ পরই মারা যান ইসাবেলে
কারো নামের এক মডেল। ২৮ বছর বয়সী
ওই নারী মডেল নিজেই
অ্যানোরেক্সিয়ায় ভুগছিলেন।
সমাজবাদী দলের এমপি অলিভিয়ের
ভেহান নিজেই একজন চিকিৎসক। এই
চিকিৎসক আইনপ্রণেতা
জানিয়েছেন, ফ্রান্সে
অ্যানোরেক্সিয়া বা ক্ষুধামন্দার
রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩০ থেকে ৪০
হাজার। আর এদের মধ্যে বেশির ভাগই
কিশোরী-তরুণী।
Created at 2015-03-17 21:13
Back to posts
UNDER MAINTENANCE